ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম কমেছে ভোজ্যতেলের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অস্বাভাবিক বাড়ার পর ভোজ্যতেলের খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে বোতলের সয়াবিন তেল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত কয়েক সপ্তাহের মতো স্বস্তি বিরাজ করছে সবজির দামে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা। পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১৫-১২০ টাকা।

অপরদিকে, কোম্পানিভেদে বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৬৬৫ টাকা। তবে খুচরা পর্যায়ে বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৫৬০-৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলের সয়াবিন তেলের দামের পরিবর্তন হয়নি।

তেলের দমের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী মো. আলামিন বলেন, গত সপ্তাহে এক কেজি খোলা সয়াবিন ১৩০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন পাইকারিতে দাম কমায় আমরা ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করতে পারছি। সয়াবিনের পাশাপাশি পাম অয়েলের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে সুপার পাম অয়েলের কেজি ছিল ১২০ টাকা, এখন তা ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বোতলের সয়াবিন তেলের দাম কমেনি।

মালিবাগ হাজী পাড়ার ব্যবসায়ী মো. আশিক বলেন, সয়াবিন তেলের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় গত সপ্তাহে আমরা পাঁচ লিটারের বোতল কেটে খোলা বিক্রি করছিলাম। কারণ বোতল থেকে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেশি হয়ে গিয়েছিল। এখন খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। তবে বোতলের তেলের দাম বেশি।

তিনি আরও বলেন, আমরা পাইকারি বাজারের ওপর নির্ভরশীল। পাইকারি বাজার থেকে কম দামে কিনতে পারলে ক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রি করি। আর বেশি দামে কিনতে হলে দাম বাড়াতে বাধ্য হয়। গত সপ্তাহে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে। তবে আমাদের মতো তেলের দাম আরও কমা উচিত।

পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম মাওলা বলেন, সয়াবিন ও পাম অয়েলে তেলের জন্য আমরা আমদানি নির্ভরশীল। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে আমাদের বাজারে দাম বাড়ে। আবার বিশ্ববাজারে দাম কমলে এখানেও দাম কমে যাবে। বিশ্ববাজারে দাম কমায় পাইকারিতে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে।

বোতলের সয়াবিন তেলের বিষয়ে তিনি বলেন, বোতলের সয়াবিন তেল কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে কোম্পানিগুলো বোতলের সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে। সেই দামেই বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হয়।

এদিকে, সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো ভালো মানের পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা, শিম ২০-৪০ টাকা দরে। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকা। এছাড়া মুলা ১০-১৫ টাকা, গাজর ৩০-৫০ টাকা, বেগুন ২০-৩০ টাকা, উস্তে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ।

সবজির পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। ভালো মানের নতুন আলুর কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০ টাকার মধ্যে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে দেশি পেঁয়াজের কেজি।

কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী শিহাব আলী বলেন, বাজারে শীতের সব ধরনের সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কম। বিশেষ করে ভালো মানের দেশি পাকা টমেটো বাজারে চলে এসেছে। এ কারণে অন্যান্য সবজির দামও কিছুটা কমেছে। শীতের সবজির সরবরাহ যতদিন এমন থাকবে, ততদিন দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দাম কমেছে ভোজ্যতেলের

আপডেট টাইম : ০২:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অস্বাভাবিক বাড়ার পর ভোজ্যতেলের খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে বোতলের সয়াবিন তেল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত কয়েক সপ্তাহের মতো স্বস্তি বিরাজ করছে সবজির দামে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা। পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১৫-১২০ টাকা।

অপরদিকে, কোম্পানিভেদে বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৬৬৫ টাকা। তবে খুচরা পর্যায়ে বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৫৬০-৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলের সয়াবিন তেলের দামের পরিবর্তন হয়নি।

তেলের দমের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী মো. আলামিন বলেন, গত সপ্তাহে এক কেজি খোলা সয়াবিন ১৩০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন পাইকারিতে দাম কমায় আমরা ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করতে পারছি। সয়াবিনের পাশাপাশি পাম অয়েলের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে সুপার পাম অয়েলের কেজি ছিল ১২০ টাকা, এখন তা ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বোতলের সয়াবিন তেলের দাম কমেনি।

মালিবাগ হাজী পাড়ার ব্যবসায়ী মো. আশিক বলেন, সয়াবিন তেলের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় গত সপ্তাহে আমরা পাঁচ লিটারের বোতল কেটে খোলা বিক্রি করছিলাম। কারণ বোতল থেকে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেশি হয়ে গিয়েছিল। এখন খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। তবে বোতলের তেলের দাম বেশি।

তিনি আরও বলেন, আমরা পাইকারি বাজারের ওপর নির্ভরশীল। পাইকারি বাজার থেকে কম দামে কিনতে পারলে ক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রি করি। আর বেশি দামে কিনতে হলে দাম বাড়াতে বাধ্য হয়। গত সপ্তাহে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে। তবে আমাদের মতো তেলের দাম আরও কমা উচিত।

পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম মাওলা বলেন, সয়াবিন ও পাম অয়েলে তেলের জন্য আমরা আমদানি নির্ভরশীল। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে আমাদের বাজারে দাম বাড়ে। আবার বিশ্ববাজারে দাম কমলে এখানেও দাম কমে যাবে। বিশ্ববাজারে দাম কমায় পাইকারিতে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে।

বোতলের সয়াবিন তেলের বিষয়ে তিনি বলেন, বোতলের সয়াবিন তেল কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে কোম্পানিগুলো বোতলের সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে। সেই দামেই বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হয়।

এদিকে, সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো ভালো মানের পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা, শিম ২০-৪০ টাকা দরে। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকা। এছাড়া মুলা ১০-১৫ টাকা, গাজর ৩০-৫০ টাকা, বেগুন ২০-৩০ টাকা, উস্তে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ।

সবজির পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। ভালো মানের নতুন আলুর কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০ টাকার মধ্যে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে দেশি পেঁয়াজের কেজি।

কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী শিহাব আলী বলেন, বাজারে শীতের সব ধরনের সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কম। বিশেষ করে ভালো মানের দেশি পাকা টমেটো বাজারে চলে এসেছে। এ কারণে অন্যান্য সবজির দামও কিছুটা কমেছে। শীতের সবজির সরবরাহ যতদিন এমন থাকবে, ততদিন দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।